timesofbangladesh.com
প্রকাশ : ১৫:০৩, ১১ জুলাই ২০২৪

দুই সন্তানের জননীকে ‘অপহরণ’, সেই ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার

কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি, সিভয়েস২৪
দুই সন্তানের জননীকে ‘অপহরণ’, সেই ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার

দুই সন্তানের জননীকে ‘অপহরণের’ ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মো. জুবাইদ হোসেন জাবেদকে বহিষ্কার করেছে ছাত্রলীগ। তিনি কাপ্তাই উপজেলার ওয়াগ্গা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। 

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম সুমন এবং সাধারণ সম্পাদক মো. নিজাম উদ্দীন ফরহাদ সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সংগঠনের নীতি আদর্শ ও শৃঙ্খলা পরিপন্থি ও অসামাজিক কার্যকালাপে জড়িত থাকার অভিযোগে কাপ্তাই উপজেলার ওয়াগ্গা ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি মো. জুবাইদ হোসেন জাবেদকে তার দায়িত্বরত সকল প্রকার কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হলো।

এ বিষয়ে কাপ্তাই উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম সুমন জানান, বিভিন্ন সংবাদের মাধ্যমে আমরা তার কার্যকলাপ সম্পর্কে অবগত হওয়ার পর দ্রুত ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ করি। এক জরুরি বৈঠকের মাধ্যমে কাপ্তাই উপজেলা ছাত্রলীগ সংগঠন থেকে মো. জুবাইদ হোসেন জাবেদের বিরুদ্ধে অব্যাহতি এবং সুষ্ঠু তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, কাপ্তাই উপজেলার ওয়াগ্গা ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি মো. জুবাইদ হোসেন জাবেদের (২৫) বিরুদ্ধে দুই সন্তানের এক জননীকে অপহরণের অভিযোগ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ওই অপহৃত মহিলার স্বামী সৌদি প্রবাসী মিজানুর রহমান রাঙ্গুনিয়া থানায় গত ৩ জুলাই বাদী হয়ে জাবেদসহ অজ্ঞাত আরও দুই জনের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ করেন। 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ জুন মিজানুর রহমানের স্ত্রী ও দুই সন্তান সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশে আসেন। এরপর ৩ জুলাই তার স্ত্রী ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের  (ইউসিবি) রাঙ্গুনিয়ার মরিয়মনগর শাখায় টাকা জমা দিতে বাসা থেকে বের হয়। এরপর দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের দিকে ব্যাংকের নিচ থেকে তাকে (স্ত্রী) অভিযুক্ত জাবেদ একটি সাদা রঙের প্রাইভেটকারে তুলে নিয়ে যায় বলে পথচারীরা মিজানুর রহমানের পরিবারকে জানায়। এরপর থেকে তার ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। সেসময় স্বামী মিজানুর রহমান ঢাকায় অবস্থান করছিলেন।

রাঙ্গুনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘ভিকটিম ও অভিযুক্তকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। ঠিক কি হয়েছে সেটা তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে।’

জনপ্রিয় সংবাদ