timesofbangladesh.com
প্রকাশ : ২০:৪৮, ২০ নভেম্বর ২০২৪

পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের কমিটি বাতিলের দাবি

সিভয়েস২৪ ডেস্ক
পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের কমিটি বাতিলের দাবি

আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসর, অনুমোদনহীন অবৈধ বাংলাদেশ আন্তঃজেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের বর্তমান কমিটির চাঁদাবাজি, শ্রমিক ও মালিকদের ওপর জুলুম নির্যাতনসহ অবৈধ কমিটির সকল সাংগঠনিক কার্যক্রম বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে আন্তঃজেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন সংগ্রাম পরিষদ।

বুধবার (২০ নভেম্বর) বিকাল ৩টায় নগরের লাভ লেইনস্থ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিএমইউজে) মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আন্তঃজেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক তৌফিকুল ইসলাম। বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন শ্রমিক ইউনিয়ন সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ও ইউনিয়নের সাবেক সদস্য মোহাম্মদ ইব্রাহিম। আরো উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও সংগ্রাম পরিষদের সদস্য সচিব মোহাম্মদ রফিক, সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মুসলিম, সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন জুয়েল, আবুল হাশেম, মোহাম্মদ নুর নবী। 

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বাংলাদেশ আন্তঃজেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের বর্তমান কমিটির অবৈধ নেতারা পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের নেতাদের সাথে যোগাযোগ করে দেশে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির পায়তারা করছে। শ্রমিক ও মালিকদের ওপর জুলুম নির্যাতন চালাচ্ছে। সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য পরিবহন সেক্টরে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে। তাদের নির্যাতন খুলনার এরশাদ শিকদারের নির্যাতনকেও হার মানিয়েছে। 

চাঁদাবাজ ও অবৈধ বর্তমান কমিটিকে বাতিল করে সকল কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানান নেতৃবৃন্দ। অন্যথায় এই অবৈধ কমিটিকে প্রতিহত করা হবে। 

লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ১৬ বছর যাবৎ ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের জুলুম নির্যাতনে বাংলাদেশের সকল শ্রেণি পেশার মানুষ অতিষ্ঠ ছিল। তারা মানুষের স্বাধীনভাবে কথা বলার স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছিল। যারা তাদের বিরুদ্ধে কথা বলেছে তাদের মিথ্যা মামলা ও হামলার স্বীকার হতে হয়েছে। সাধারণ মানুষকে বিনা বিচারে বছরের পর বছর আয়না ঘর নামক স্থানে আটক রেখে প্রতিবাদীদের মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করেছে। সড়ক পথসহ দেশের সর্বত্র প্রতিবাদীদের মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করেছে। সড়ক পরিবহন থেকে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে লুটপাট করে অবৈধ উপায়ে হাজার হাজার কোটি টাকা চাঁদা আদায় করেছে। দেশের নিরীহ মানুষ তাদের অত্যাচারে নীরব থাকা ছাড়া কোন উপায় ছিল না।

নেতৃবৃন্দ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সমর্থিত শ্রমিক নেতারা পরিবহন শ্রমিক নেতা ও সাবেক মন্ত্রী শাহজাহান খানের দাপট দেখিয়ে দীর্ঘ ১৬ বছর যাবৎ শ্রমিক ইউনিয়নের ভিন্নমতের সাধারণ শ্রমিক ও মালিকদের ওপর জুলুম নির্যাতন করে চাঁদা আদায় করেছে। ২০০৯ সালে জসিম উদ্দীনকে সভাপতি ও মো. মুসাকে সাধারণ সম্পাদক করে অনির্বাচিত একটি কমিটি গঠন করে। ২০১৮ সালে রুহুল আমিনকে সভাপতি ও ইমাম শরীফ চৌধুরী সাধারণ সম্পাদক করে অনির্বাচিত আরেকটি কমিটি অনুমোদনের জন্য সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে আবেদন করিলে শ্রম আদালতে মামলা চলমান থাকায় এবং শ্রম দপ্তরের নির্দেশনা অমান্য করায় সরকারের শ্রম অধিদপ্তর ট্রেড ইউনিয়ন শাখা একটি পত্রের মাধ্যমে এই অবৈধ কমিটি বাতিল করেন। 

নেতৃবৃন্দ বলেন, ছাত্র জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ার পর মন্ত্রী শাহজাহান খানসহ সরকারের দোসররা পালিয়ে যায়। কিন্তু বর্তমানে তারা পুনরায় সংগঠিত হয়ে সাধারণ শ্রমিকসহ মালিকদের ওপর জুলুম নির্যাতন করে চাঁদা আদায় করছে। তাদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বললে বর্তমানেও তারা সাধারণ শ্রমিকদের মারধর করছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা সাধারণ শ্রমিকদের কল্যাণে কাজ করি। সাবেক মন্ত্রী শাহজাহান খানের পক্ষ থেকে ইমাম শরীফ গং ও সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল চৌধুরীর নেতৃত্বে অসহায় শ্রমিকদের নিকট থেকে চাঁদা আদায় করা হয়। তাই তাদের অবৈধ থাবা থেকে শ্রমিকদের বাঁচানোর জন্য চাঁদাবাজ ও অবৈধ কমিটির সকল কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।

জনপ্রিয় সংবাদ