timesofbangladesh.com
প্রকাশ : ২১:১৪, ৩০ অক্টোবর ২০২৪

সাসকসের অভিষেক অনুষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা

সিভয়েস২৪ ডেস্ক
সাসকসের অভিষেক অনুষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা

সাতকানিয়া উপজেলা ও পৌরসদরের ঐতিহ্যবাহী সামাজিক সংগঠন সাতকানিয়া সমাজ কল্যাণ সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান, গুনীজন সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা সম্পন্ন হয়েছে। ২৫ অক্টোবর সকালে সাতকানিয়া মডেল হাইস্কুল প্রাঙ্গণে এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারিস্তা করিম, সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল খান, রাজনীতিবিদ ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক জাফর সাদেক ও সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক আমান উল্লাহ আমান।

সংগঠনের পৃষ্ঠপোষক চেয়ারম্যান রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে এবং   উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সচিব আরিফুল হক কায়সারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রামের সমন্বয়ক মোহাম্মদ রাসেল আহমেদ, সহ-সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি
মো. আলী, রেজাউর, মাহাতির প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে সংগঠনের বিগত বছরের কার্যক্রম তুলে ধরেন সংগঠনের সদস্যরা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহীদ আবু সাঈদ ও শহীদ মীর মুগ্ধ এর স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে মুরাল উদ্ভোধন করেন উপস্থিত সমন্বয়করা। এই সময় চব্বিশের আন্দোলনের বিভিন্ন চিত্র নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়, যা সবার মধ্যে দেশপ্রেমের প্রজ্জ্বলিত এক নতুন স্ফূরণ ছড়িয়ে দেয়।

পরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য সম্মাননা ও উপহার তুলে দেওয়া হয় গুণীজনদের হাতে। এতে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাবিদ, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, ছাত্রসমাজ এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।

রাত ৮টায় শুরু হয় সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা, যেখানে পারাবার, সুরের মোহনা, অ্যাডভোকেট জুনাইদ শিবলী, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, নেজাদ ই দীন সহ শিল্পীরা তাদের সুরের মূর্ছনায় সবার হৃদয়ে রঙিন স্মৃতির রূপকথা বুনে দেন। আজাদ শেখের উপস্থাপনায় হাজারো মানুষ এ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা উপভোগ করেন এবং তাঁদের প্রশংসাসূচক করতালিতে মুখরিত হয় পুরো প্রাঙ্গণ।

এর আগে সকালে সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয় থেকে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি সাতকানিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।শিশু-কিশোর-তরুণ-যুবারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এ র‌্যালিতে অংশ নিয়ে ফুটিয়ে তুলেন একতার চিত্র। এছাড়া দুপুরে  মধ্যাহ্নভোজ আয়োজনের মধ্য দিয়ে রাখা সামাজিক সম্প্রীতির এক অনন্য স্মারক, যেখানে অংশ নেন স্থানীয় প্রায় ১৫০০ মানুষ। 

জনপ্রিয় সংবাদ