timesofbangladesh.com
প্রকাশ : ১৩:০২, ১০ জুলাই ২০২৪

বহদ্দারহাট গার্ডার ধস মামলায় ৮ ঠিকাদারকর্মীর ৭ বছর করে কারাদণ্ড

সিভয়েস২৪ প্রতিবেদক
বহদ্দারহাট গার্ডার ধস মামলায় ৮ ঠিকাদারকর্মীর ৭ বছর করে কারাদণ্ড

চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটে ফ্লাইওভারের গার্ডারধসে ১৩ জনের প্রাণহানির মামলায় ৮ আসামির প্রত্যেককে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসাথে তাদের প্রত্যেককে ৩ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১০ জুলাই) চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। 

এই মামলার আট আসামিদের সবাই ঠিকাদার মীর আখতার-পারিসা’র (জেভি) তৎকালীন কর্মী। তারা হলেন—  প্রকল্প ব্যবস্থাপক গিয়াস উদ্দিন, মনজুরুল ইসলাম, প্রকৌশলী আবদুল জলিল, আমিনুর রহমান, আবদুল হাই, মোশাররফ হোসেন, মান নিয়ন্ত্রণ প্রকৌশলী শাহজাহান আলী ও রফিকুল ইসলাম।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, কর্তব্যে অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ এনে বহদ্দারহাটে নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের গার্ডার ধসে প্রাণহানির ঘটনায় প্রকল্প পরিচালক চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) নির্বাহী প্রকৌশলীসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে ২০১২ সালের ২৬ নভেম্বর চান্দগাঁও থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ২৪ অক্টোবর আদালতে ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৮ জুন তৎকালীন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ এসএম মজিবুর রহমানের আদালত ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।  

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ সিভয়েস২৪’কে বলেন, বহদ্দারহাটে নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের গার্ডার ধসে ১৩ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মোট ২৮ জন সাক্ষীর মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষে ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। আসামি পক্ষে সাফাই সাক্ষী দিয়েছেন ৭ জন। গত ২৫ জুন দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়। 

আজ (বুধবার) আদালত অভিযুক্ত আট আসামির প্রত্যেককে দুইটি ধারায় পাঁচ ও দুই বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন। এই দুই সাজা একটির পর একটি চলবে। একইসাথে দণ্ডিত প্রত্যেককে ৩ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রায় ঘোষণার সময় আট আসামিই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর জামিনে থাকা আসামিদের জামিন বাতিল করে পরে তাদের সাজা পরোয়ানামূলে কারাগারে পাঠানো হয়।

এদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এস ইউ নুরুল ইসলাম সিভয়েস২৪’কে বলেন, ‘আসামিরা ন্যায্য বিচার পায়নি। এটা অন্যায়ভাবে রায় দেওয়া হয়েছে। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।’

অন্যদিকে রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি অনুপম চক্রবর্তী সিভয়েস২৪’কে বলেন, এই দুর্ঘটনার দায় প্রতিষ্ঠান এড়াতে পারে না। আদালত রায় ঘোষণার সময় এই মেসেজটাই দিয়েছেন, আসামিরা যেখানেই দায়িত্ব পালন করুক না কেন এ দায় তাদের ওপরও বর্তায়।

জনপ্রিয় সংবাদ